Google Trends Bangladesh ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন
গুগল ট্রেন্ডস বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি যেকোন সময়ে ট্রেন্ডিং টপিক খুঁজে বের করতে পারবেন। আজকের এই ডিজিটাল যুগে, আমরা সবাই ইন্টারনেটে অনেক কিছু খুঁজি। কোনো পণ্য কিনতে হলে, কোনো তথ্য জানতে হলে বা কেবল মজার জন্য, আমরা সবাই গুগল বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে লিখি। এই সার্চের ফলাফল গুগল ট্রেন্ডসে সংরক্ষিত হয়।
গুগল ট্রেন্ডস হল একটি ফ্রি টুল যা কোনো বিষয় বা শব্দ কতবার সার্চ করা হয়েছে তা দেখায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, গুগল ট্রেন্ডস আমাদের দেশের মানুষ কী নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী তা বুঝতে সাহায্য করে। আজকের এই পোস্টটি গুগল ট্রেন্ডস কি? গুগল ট্রেন্ডসের বৈশিষ্ঠ্য, কিভাবে গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করা যায় এই বিষয়গুলো নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই এই পোস্টটি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
গুগল ট্রেন্ডস কী?
গুগল ট্রেন্ডস হল গুগলের একটি ফ্রি অনলাইন টুলস যা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং ভাষায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কোন শব্দ বা বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হচ্ছে তা দেখায়। এটি এক ধরনের সার্চ ইঞ্জিনের বারোমিটার, যা কোন বিষয়টি জনপ্রিয়, কোন বিষয়টি সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, বা কোন বিষয়টি নিয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি কথা বলছে তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। বর্তমানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সবচেয়ে অন্যতম ব্যবহৃত টুলসগুলোর মধ্যে গুগল ট্রেন্ডস অন্যতম।
গুগল ট্রেন্ডস কেন ব্যবহার করবেন?
গুগল ট্রেন্ডস হল গুগলের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী টুলস যা আমাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং ভাষায় মানুষ কী সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী তা বুঝতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করার অনেক কারণ রয়েছে:
ব্যক্তিগত ব্যবহার:
জ্ঞান অর্জন: কোন বিষয় সম্পর্কে মানুষ কী ভাবে চিন্তা করে তা জানতে এবং নিজের জ্ঞান বাড়াতে।
সাম্প্রতিক প্রবণতা বোঝা: কোন বিষয় জনপ্রিয় হচ্ছে বা কমে যাচ্ছে তা দেখে সাম্প্রতিক প্রবণতা বুঝতে।
হবি বা আগ্রহের বিষয়ে আরও জানা: নিজের পছন্দের বিষয় সম্পর্কে অন্যরা কী ভাবে চিন্তা করে তা জানতে।
পেশাগত ব্যবহার:
বাজার গবেষণা: কোন পণ্য বা সেবা বাজারে চালু করার আগে, গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করে লোকেরা সেই পণ্য বা সেবা নিয়ে কী ভাবে চিন্তা করে তা জানা যায়।
সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং: কোন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করা উচিত তা নির্ধারণ করে সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং ক্যাম্পেইন সফল করতে।
আরও পড়ুন: জিমেইল খোলার নিয়ম
কনটেন্ট তৈরি: ব্লগার, ইউটিউবার বা অন্য কোন কনটেন্ট ক্রিয়েটর গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করে জানতে পারেন লোকেরা কী ধরনের কনটেন্ট খুঁজছে।
এসইও: সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও-র ক্ষেত্রে গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করে কোন কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত তা নির্ধারণ করা যায়।
ব্র্যান্ডিং: ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা এবং ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের ধারণা বোঝা।
সিদ্ধান্ত গ্রহণ: ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুগল ট্রেন্ডস একটি দরকারী টুল হতে পারে।
Google Trends-এ যেভাবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন
গুগল ট্রেন্ডস টুলসটি ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। গুগল ট্রেন্ডস এ একাউন্ট খোলা খুবই সহজ। Google Trends-এ অ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য একটি এক্টিভ জিমেইল আইডি প্রয়োজন। Google Trends-এ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- প্রথমে গুগলে গিয়ে Google Trends লিখে সার্চ করুন। এরপর Google Trends- এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- এবার ডান দিকে থ্রি-ডট আইকন থেকে Sign In অপশানে ট্যাপ করুন।
- এরপর আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে Google Trends-এ সাইন ইন করুন।
মূলত এইভাবে আপনার গুগল ট্রেন্ডস একাউন্ট তৈরি হবে। এখন আপনি এই টুলসটি যেকোন সময়ে ব্যবহার করতে পারেন।
Google Trends Bangladesh ব্যবহারের নিয়ম
বিভিন্ন বিষয়ে সার্চ রেজাল্ট দেখার জন্য আমাদের Google Trends ব্যবহার করা প্রয়োজন পড়ে। তাই আজকেরে এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে google trends bangladesh ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানাব। গুগল ট্রেন্ডস এর ব্যবহার খুবই সহজ। আপনি যদি একবার এর ব্যবহার জেনে নিতে পারেন। তবে আপনার এই ব্যাপারে পরিপূর্ণ ধারণা হয়ে যাবে। নিম্নে গুগল ট্রেন্ডস বাংলাদেশ ব্যবহারের নিয়ম উল্লেখ করা হলো-
ধাপ-১ঃ প্রথমে আপনি Google Trends ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে সাইন ইন করে নিন।
ধাপ-২ঃ আপনার গুগল একাউন্ট সাইন ইন করা হলে, এবার বামদিকে থ্রি-ডট অপশানে প্রেস করার পর, Explore অপশানে প্রেস করুন।
ধাপ-৩ঃ এবার Explore অপশানে আসার পর, আপনি এখানে আপনি অসংখ্য টপিক দেখতে পাবেন। মূলত এই টপিক দেখে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আপনার পরবর্তী কাজের জন্য। এখানে ডিফল্টভাবে Bangladesh সিলেক্ট করা থাকবে। আপনি যদি অন্যন্য দেশের কিওয়ার্ড আইডিয়া চান, তবে অন্য দেশ সিলেক্ট করতে পারেন।
ধাপ-৪ঃ আপনার Explore অপশান থেকে আইডিয়া নেওয়া হলে, এবার আপনি আবার একইভাবে বামদিকে থ্রি-ডট অপশানে এসে Trending Now অপশানে প্রেস করবেন।
ধাপ-৫ঃ এই অপশানে আসার পর আপনি সকল ট্রেন্ডিং টপিক দেখতে পারবেন। এই মুহূর্তে কোন কোন বিষয় মানুষ সার্চ করছে, কোন কোন বিষয় মানুষ বেশী জানতে চায় তা এখান থেকে দেখতে পাবেন। আপনি যদি অন্য দেশের ট্রেন্ডিং টপিক দেখতে চান, তবে দেশ পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
মূলত এভাবেই গুগল ট্রেন্ডস বাংলাদেশ ব্যবহার করা যায়, আপনি চাইলে যেকোন দেশের ট্রেন্ডিং টপিক সহজেই খুঁজে বের করে নিতে পারেন। আপনি যদি একজন ইউটিউবার, ব্লগার, গবেষক, বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য একটি চমৎকার অনলাইন টুলস হলো গুগল ট্রেন্ডস।
1111
ইউটিউবার এবং ব্লগারদের জন্য গুগল ট্রেন্ডসের সুবিধা
আপনি যদি একজন ইউটিউবার কিংবা ব্লগার হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য একটি শক্তিশালি টুলস হলো গুগল ট্রেন্ডস। কেননা গুগল ট্রেন্ডসের মাধ্যেমে আপনার ভিডিওর টপিক ও কন্টেন্ট আইডিয়া খুঁজে পেতে অনেক সাহায্য করে। নিচে একজন ইউটিউবার এবং ব্লগারদের জন্য গুগল ট্রেন্ডসের সুবিধা সমূহ তুলে ধরা হলো-
- আপনি আপনার ভিডিওর জন্য কিংবা ব্লগপোস্ট লেখার জন্য সেরা কিওয়ার্ড খুঁজে বের করে শক্তিশালী কন্টেন্ট লিখতে পারেন।
- আপনি ট্রেন্ডিং টপিক খুঁজে বের করে আপনার নিজস্ব একটি ব্লগ অথবা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন।
- আপনি যেকোন দেশ থেকে আপনার ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ব্লগ র্যাংক করাতে পারেন।
- গুগল ট্রেন্ডসের মাধ্যেমে আপনি সঠিক কিওয়ার্ড খুঁজে পেতে পারেন।
- গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করে আপনি মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করতে পারেন কিংবা ব্লগপোস্ট লিখতে পারেন।
- আপনি কম সময়ে অনেক দর্শক অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
শেষ কথা: Google Trends Bangladesh ব্যবহারের নিয়ম
গুগল ট্রেন্ডস একটি অত্যন্ত দরকারী এবং বহুমুখী টুলস যা ব্যক্তি এবং পেশাজীবী উভয়ের জন্যই উপকারী হতে পারে। এটি আমাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং ভাষায় মানুষ কী সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী তা বুঝতে সাহায্য করে এবং আমাদেরকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে গুগল ট্রেন্ডস বাংলাদেশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সমন্ধে আলোচনা করেছি। যদি এই পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে তথ্যবহুল মনে হয় তবে আপনার সমস্ত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url